প্রথমেই আউটসোর্সিং বাতিল করতে হবে - এম এ হান্নান
![]() |
| বাংলাদেশ ১৭-২০ গ্রেড সরকারি কর্মচারি সমিতির প্রধান উপদেষ্টা এম এ হান্নান |
বাংলাদেশ ১৭-২০ গ্রেড সরকারি কর্মচারি সমিতির প্রধান উপদেষ্টা এম এ হান্নান বলেছেন, “প্রথমেই আউটসোর্সিং বাতিল করতে হবে, পুলিশের ন্যায় রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে, পোশাক ভাতা সরাসরি বেতনের সঙ্গে প্রদান করতে হবে, সচিবালয়ের মতো পদবী পরিবর্তনের ব্যবস্থা চালু করতে হবে, নতুন পে-কমিশন গঠন করতে হবে এবং বৈষম্যমূলক পে-কমিশন বাতিল করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমার বাড়বে ১০০ টাকা, আর সচিবের বাড়বে ৩০ হাজার টাকা— এ ধরনের বৈষম্য কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বাংলার মাটিতে আমরা এমন বৈষম্যমূলক পে-কমিশন আর চাই না।”
আন্দোলনের ইতিহাস স্মরণ করে তিনি বলেন, “যদি সালাহউদ্দিন সেলিম বেঁচে থাকতেন, তাহলে কোনো সরকারের সাহস হতো না ১৫ বছর ধরে পে-স্কেল না দিতে। এমন কোনো সরকার থাকত না যারা মহার্ঘ ভাতা না দিয়ে পার পেত।”
তিনি কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আজ যখন ডাকা হয়, কর্মচারীরা সাড়া দেয় না, তারা বুঝে না কী সর্বনাশ হয়ে যাচ্ছে। যদি সবাই এক হয়ে মাঠে নামত তাহলে এক সপ্তাহ নয়— মাত্র ৪৮ ঘণ্টার আন্দোলনেই দাবি আদায় করা সম্ভব হতো। অফিস-আদালত বন্ধ করে দিলে সরকার বাধ্য হতো আমাদের দাবি মেনে নিতে।”
গত ১০ই মে ভূমি রেকর্ড অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ হলে বাংলাদেশ ১৭-২০ গ্রেড সরকারি কর্মচারি সমিতির সহ-সভাপতি মরহুম জহিরুল ইসলাম খান-এর স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন এম এ হান্নান।
